ওয়েবডেস্ক- মাও দমনে বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর (Security Forces)। এনকাউন্টারে নিহত মাও শীর্ষ নেতা মাদভি হিডমা (Maoist Leader Madvi Hidma) তার স্ত্রী ও তাদের চার সঙ্গী। ২৬ এর বেশি নকশাল আক্রমণ চালিয়েছে হিডমা বাহিনী। অন্ধ্র-ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানা লাগোয়া আন্ধ্রের আলুরি সীতারাম মারেদুমিলির জঙ্গলে এনকাউন্টার। হিডমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। এদিন সকালেই তল্লাশি অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী।
সেই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ৬ মাওবাদী। এখনও ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। হিডমার বিরুদ্ধে ২৬টি সশস্ত্র হামলারফ অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে রয়েছে ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ার হামলা, ২০১৩ সালে ঝিরাম উপত্যকার হামলা, ২০২১ সালে সুকমা-বিজাপুর হামলা।
আরও পড়ুন- জঙ্গলে দাঁড়িয়ে ছবির পোজ, অতর্কিতে ঘাড়ে লাফ দিয়ে পড়ল বাঘ
হিডমা ছিলেন মূলত পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির নেতা। মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কনিষ্ঠতম সদস্য ছিলেন। বস্তার অঞ্চলের একমাত্র আদিবাসী সদস্য হিসেবে তিনি এই কমিটিতে যুক্ত হন। হিডমা ছাড়াও তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাও এককাউন্টারে নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ছত্তিশগড়ে সুকমা জেলাতেও বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন এক মাওবাদী। মঙ্গলবার সকালে এরাবোর থানার কাছের জঙ্গলে আচমকা গুলির শব্দ পেয়েই সতর্ক হয়ে ওঠে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সূত্র ধরেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা রক্ষীরা আসছে টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানেই নিহত হন ওই মাওবাদী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুঙ্কার ২০২৬ সালের মধ্যেই মাও মুক্ত দেশ গড়ার হুঙ্কার দিয়েছেন। এর পর থেকেই জোরদার অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত ১১ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের ৬ মাওবাদী নিহত নন।
দেখুন আরও খবর-







